মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: নিজের বাবা ও বড়ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করল মুম্বাইয়ের এক কিশোরী। সে জানিয়েছে, একবার নয়, টানা দু’বছর ধরে বারবার এই ধরনের নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। পুলিশ দুই অভিযুক্তকে জেরা করেছে। জেরার মুখে নিজেদের অপরাধ স্বীকারও করেছে তারা। এমন ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কী করে অভিযুক্তরা এমন পাশবিক কাজ করতে পারল ভেবে শিউরে উঠছে সকলে।
কী করে সামনে এল এই ঘৃণ্য অপরাধ? আসলে দশম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী গত কয়েক বছর ধরে মনের ভিতরে আতঙ্ক ও অস্থিরতাকে সঙ্গে করে নীরবই ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাহস করে স্কুলের শিক্ষিকা ও অধ্যক্ষকে সে সব খুলে বলে। তাঁদের সহায়তায় শেষ পর্যন্ত এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে মুখ খোলে ওই কিশোরী। কাউন্সেলিংয়ের পরে কিশোরী রাজি হয় পুলিশে অভিযোগ জানাতে। এরপরই আটক করা হয় দুই অভিযুক্তকে।
কিশোরী জানিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। একা একা সে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে থাকাকালীন সেখানে প্রবেশ করে তার বাবা। ৪৩ বছরের ওই ব্যক্তি নিজেরই আত্মজাকে যৌন নির্যাতন করে। ওই একই মাসে তার ২০ বছরের বড়ভাইও তার শ্লীলতাহানি করে। এরপর থেকে শুরু হয় নিয়মিত নির্যাতনের ঘটনা। একাধিক বার তাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে ওই কিশোরী। এখানেই শেষ নয়। তার আশঙ্কা, হয়তো একই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তার ছোটবোনকেও।
কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারার পাশাপাশি পকসো আইনেও অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ বাবা ও ছেলেকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে। পুলিশি জেরায় তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছে। এরপর তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।